উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – "শিখন কৌশল" (দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন | HS Education- "learning strategies" (2nd unit) Suggestion

 
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – "শিখন কৌশল" (দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন  | HS Education- "learning strategies" (2nd unit) Suggestion



উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer


উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর

শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) | HS Education Question and Answer

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর : শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) HS Education Question and Answer : উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 12 Education Question and Answer, Suggestion, Notes – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short,  Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 12th Twelve XII Education Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।

 তোমরা যারা শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) – উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 

শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) – উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12th Education Question and Answer

________________________________


সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer :

Q. উদ্দীপক ( S ) এবং প্রতিক্রিয়া ( R ) এর বন্ধনের প্রভাবে ঘটে – 

(A) পরিণমন 

(B) শিখন 

(C) অভিযোজন 

(D) অবদমন । 

Ans: (B) শিখন 


Q. আধুনিক শিক্ষা – 

(A) সমস্যা সমাধান ভিত্তিক শিক্ষা

(B) প্রাথমিক শিক্ষা 

(C) শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা

(D) শিক্ষাকেন্দ্রিক শিক্ষা

Ans: (C) শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা 


Q. প্রাচীন অনুবর্তনে যে উদ্দীপকটি তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী হয়— 

(A) অনুবর্তিত 

(B) অনাবর্তিত 

(C) বিকল্প 

(D) প্রক্ষোভগত 

Ans: (B) অনাবর্তিত 


Q.অনুশীলনের সূত্রটি নিম্নলিখিত যে শিখন তত্ত্বটির সাথে সম্পর্কযুক্ত – 

(A) প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্ব 

(B) সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্ব 

(C) প্রচেষ্টা – ভুল তত্ত্ব 

(D) আধুনিক অনুবর্তন তত্ত্ব

Ans: (C) প্রচেষ্টা – ভুল তত্ত্ব


Q. চেষ্টা ও ভ্রাস্তি তত্ত্বের প্রবক্তা 

(A) প্যাভলভ 

(B) থর্নডাইক 

(C) স্কিনার 

(D) বার্নার্ড

Ans: (B) থর্নডাইক 


Q. ‘ প্রচেষ্টা ও ভুল ‘ তথা সংযোজনবাদ তত্ত্বের মূল প্রবক্তা-  

(A) স্কিনার 

(B) প্যাভলভ

(C) থর্নডাইক

(D) স্পিয়ারম্যান

Ans: (B) থর্নডাইক /


Q. গেস্টাল্ট শব্দের অর্থ– 

(A) পরিধি

(B) ক্ষেত্রফল

(C) আয়তন

(D) সম্পূর্ণ আকার বা অবয়ব বা কাঠামো 

Ans: (D) সম্পূর্ণ আকার বা অবয়ব বা কাঠামো


Q. প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বের প্রবক্তা— প্রশ্ন : সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বের প্রবক্তা – 

(A) মনোবিদ প্যাভলভ 

(B) মনোবিদ থর্নডাইক

(C) মনোবিদ স্কিনার

(D) মনোবিদ থর্নডাইক

Ans: (A) মনোবিদ প্যাভলভ


Q. সক্রিয় অনুবর্তনের অপর নাম 

(A) নবীন অনুবর্তন 

(B) ধ্রুপদি অনুবর্তন 

(C) সাধারণ অনুবর্তন

(D) যান্ত্রিক অনুবর্তন

Ans: (D) যান্ত্রিক অনুবর্তন


Q. ……….. একটি জার্মান শব্দ । 

(A) অপারেন্ট 

(B) শেপিং 

(C) গেস্টাল্ট

(D) স্টিমিউলাস 

Ans: (C) গেস্টাল্ট


Q. শক্তিদায়ী উদ্দীপক প্রতিক্রিয়াকে দুর্বল করে দেয় ।

(A) ঋণাত্মক 

(B) ধ্বংসাত্মক

(C) সর্বাত্মক

(D) ধনাত্মক

Ans: (A) ঋণাত্মক 


Q. কফ্‌কা কোন ধারার বিজ্ঞানী ? 

(A) সমগ্রতাবাদী

(B) অনুষঙ্গবাদী

(C) ক্রিয়াবাদী

(D) আচরণবাদী

Ans: (A) সমগ্রতাবাদী


Q. ‘ Gestalt ‘ কথাটির সঙ্গে কোনটি মানানসই নয় ? 

(A) সম্পূর্ণ আকার 

(B) পদ্ধতি

(C) অবয়ব

(D) কাঠামো

Ans: (B) পদ্ধতি 


Q. প্রক্ষোভের শেষে অনুবর্তনের প্রভাব – 

(A) বেশি

(B) খুব কম

(C) মাঝারি 

(D) সবচেয়ে বেশি

Ans: (C) মাঝারি


Q. শিখনের ক্ষেত্রে সংযোগবাদের প্রবর্তক হলেন— 

(A) প্যাভলভ 

(B) ওয়াটসন

(C) থর্নডাইক

(D) স্কিনার

Ans: (C) থর্নডাইক 


অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer : 

Q. ‘ পাজল বক্স ’ কাকে বলে ?

Ans: শিখনের সঠিক পদ্ধতি নির্ণয়ের জন্য থর্নডাইক বিড়াল ও মাছ নিয়ে পরীক্ষার সময় বিশেষ এক ধরনের বাক্স ব্যবহার করেছিলেন । ওই বাক্সের নাম পাজল বক্স । 


Q. প্রচেষ্টা – ভুল শিখন কৌশল বলতে কী বোঝো ?

Ans: থর্নডাইকের প্রচেষ্টা – ভুল শিখন একটি যান্ত্রিক কৌশল । প্রাণীর প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে ভুল প্রচেষ্টাগুলি ক্রমশ সংশোধিত হয় এবং সঠিক প্রচেষ্টাটি ক্রমশ নির্দিষ্ট হয় । এইভাবে শিখন সম্পন্ন হয় ।


Q. R – Type আচরণ কী ? 

Ans: যে আচরণের কোনো নির্দিষ্ট উদ্দীপক নেই , যেকোনো উদ্দীপকের দ্বারা যে আচরণ ঘটানো যেতে পারে , তাকে R – Type আচরণ বলা হয় । 


Q. স্কিনারের শক্তিদায়ক উদ্দীপক দু’টি কী ? 

Ans: স্কিনারের শক্তিদায়ক উদ্দীপক দু’টি হলো— ( ক ) ধনাত্মক শক্তিদায়ক উদ্দীপক এবং ( খ ) ঋণাত্মক শক্তিদায়ক উদ্দীপক । 


Q. সক্রিয় অনুবর্তন প্রাণীর কোন স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ? 

Ans: সক্রিয় অনুবর্তন প্রাণীর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । 


Q. অনুবর্তন কী ? 

Ans: যে প্রক্রিয়ার দ্বারা একটি নতুন প্রতিক্রিয়া বা আচরণ একটি অস্বাভাবিক উদ্দীপকের মাধ্যমে প্রাণীর মধ্যে জাগিয়ে তোলা যায় তাকে বলে অনুবর্তন । 


Q. অপারেন্ট বলতে কী বোঝো ? 

Ans: অপারেন্ট বলতে বোঝায় ফলোৎপাদনের জন্য প্রতিক্রিয়া যার কোনো নির্দিষ্ট উদ্দীপক অনুপস্থিত থাকে । 


Q. S – Type অনুবর্তন বলতে কী বোঝো ? 

Ans: S – Type অনুবর্তন বা স্বতঃক্রয়ামূলক আচরণ হলো এমন আচরণ যেক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্দীপক থাকে না , যেকোনো উদ্দীপকের সঙ্গে প্রতিক্রিয়াকে যুক্ত করা যায় এবং প্রাণী যেখানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে ।


Q.  থর্নডাইকের প্রচেষ্টা ও ভুল পদ্ধতির দু’টি সূত্র উল্লেখ করো । 

Ans: থর্নডাইকের প্রচেষ্টা – ভুল পদ্ধতির দু’টি সূত্র 1. ফললাভের সূত্র এবং 2. অনুশীলনের সূত্র । 


Q. ধর্নডাইকের ফললাভের সূত্রটি আলোচনা করো ।

Ans: শিখনের সময় উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সার্থক সমন্বয় স্থাপনের মাধ্যমে যদি সুখকর ও সন্তোষজনক ফল পাওয়া যায় , তবে ঐ সম্পর্কের বন্ধন শিথিল হবে । 


সক্রিয় অনুবর্তনের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো । And: সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য – 1. অপারেন্ট অনুবর্তনে প্রাণীর সক্রিয়তা একান্তভাবে প্রয়োজন হয় । 

এধরনের অনুবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রতিক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রাণীকে আগে থেকে প্রস্তুত হতে হয় । 

Q. স্কিনার বাক্স কী ?

Ans: প্রখ্যাত মনোবিদ তথা অপারেন্ট ( Operant ) অনুবর্তন তত্ত্বের প্রবক্তা স্কিনার পরীক্ষালব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য বিশেষ একটি বাক্স ব্যবহার করেন । এটাকেই বলা হয় । ‘ স্কিনার বক্স ’ । বাক্সে একটি যন্ত্র নিয়ন্ত্রিত ট্রে আছে । একটি বোতামের উপর চাপ প্রয়োগ করলেই ট্রেতে খাবার উপস্থিত হয় । 


রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer : 

Q. শিখনের কৌশল হিসেবে স্কিনার বক্স কী ? সংক্ষেপে স্কিনার বক্সের পরীক্ষাটি বর্ণনা করো । 

অথবা , স্কিনার বক্স কী ? স্কিনারের সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বের ব্যাখ্যাটি সংক্ষেপে বর্ণনা করো । 

অথবা , স্কিনার বক্স কাকে বলে ? স্কিনারের সক্রিয় অনুবর্তনের পরীক্ষাটি বর্ণনা করো । 


Ans: স্কিনার বক্স : প্রখ্যাত মনোবিদ তথা অপারেন্ট বা সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বের প্রবক্তা স্কিনার তার পরীক্ষালব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য একটি বিশেষ বাক্স ব্যবহার করেন । একেই বলা হয় স্কিনার বক্স । এই বাক্সে একটি যন্ত্র নিয়ন্ত্রিত ট্রে থাকে । একটি বোতামের উপর চাপ পড়লেই ট্রে – তে খাবার চলে আসে । 


স্কিনার বক্সের / সক্রিয় অনুবর্তনের পরীক্ষা : যেকোনো প্রাণীর মানসিক অবস্থা অনুবর্তনের সময় উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে শক্তি জোগায় । এই ধারণাটি হলো সক্রিয় অনুবর্তন । স্কিনারের মতে , প্রাণীর সাধারণ ধর্ম হলো উদ্দীপকের প্রতি প্রতিক্রিয়া করা । প্রাণীর কিছু কিছু প্রতিক্রিয়াকে বস্তুধর্মী নির্দিষ্ট উদ্দীপকের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায় না । এই ধরনের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে উদ্দীপকের কীভাবে সংযোগ স্থাপিত হয় , স্কিনার সেই ব্যাখ্যাই দিয়েছেন তাঁর অপারেন্ট বা সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বে । 


  সক্রিয় অনুবর্তনের ব্যাখ্যায় স্কিনার বিভিন্ন পরীক্ষার বর্ণনা দিয়েছেন । এমন একটি পরীক্ষায় তিনি একটি ইঁদুরকে বাক্সে ঢুকিয়ে একটি ট্রে – তে খাদ্যবস্তু রাখেন । ইঁদুরটি ঐ খাবার খেয়ে নেয় । এরপর একদিন তিনি ইঁদুরটিকে বাক্সে ঢুকিয়ে বিশেষ এক যান্ত্রিক কৌশলে বোতাম টিপে ট্রে – র মধ্যে খাবার ফেলেন । এবারও ইঁদুরটি খাবার খেয়ে নিল । এবার তিনি ইঁদুরটিকে বাক্সে ঢুকিয়ে তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন । ইঁদুরটি ট্রে – র মধ্যে খাবার না পেয়ে এদিক সেদিক খোঁজাখুজি করতে থাকে । 



  এক পর্যায়ে ইঁদুরটি বোতাম টিপে দিল আর ট্রে – র মধ্যে খাবারও এসে পড়ল । এরপর ইঁদুরটি বোতাম টেপার প্রতিক্রিয়াটি করতে থাকে । এই প্রসঙ্গে স্কিনার বলেন , এই ধরনের প্রতিক্রিয়া খাদ্যবস্তুর উদ্দীপক দ্বারা নির্ধারিত হয়নি । এটি নির্ধারিত হয়েছে খাদ্যের প্রত্যাশার উত্তেজনায় । আর বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই । কোনো অজানা উদ্দীপকের ফলে প্রতিক্রিয়া করলে প্রাণী যদি একটি শক্তিদায়ক উদ্দীপক পায় , তাহলে সে পূর্বের প্রতিক্রিয়াই গ্রহণ করে । এটি সক্রিয় অনুবর্তনের মূল কথা । 


Q. থর্নডাইকের শিখনের মূল সূত্রগুলি কী ? শিক্ষাক্ষেত্রে যেকোনো দু’টি মূল সূত্রের গুরুত্ব লেখো । 

Ans: মনোবিদ থর্নডাইক তাঁর পাজল – বক্সে বিড়ালকে রেখে এক যুগান্তকারী পরীক্ষা করেছিলেন । ঐ পরীক্ষার ভিত্তিতে শিখনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন । দীর্ঘ গবেষণার পর থর্নডাইক শিখন সংক্রান্ত তিনটি প্রধান সূত্র ও পাঁচটি অপ্রধান সূত্র উদ্ভাবন করেন । 


থর্নডাইকের শিখনের মূল সূত্র : 


1. অনুশীলনের সূত্র : অনুশীলনের সূত্র অনুযায়ী শিখতে গেলে অনুশীলন প্রয়োজন । এই পদ্ধতিতে শিখনপ্রক্রিয়া ক্রমবিকাশমান । 

2. প্রস্তুতির সূত্র : প্রচেষ্টা – ভুলের কৌশলে শিক্ষার্থীদের জৈবমানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন । শিক্ষার্থীর আগ্রহ বা প্রেষণা প্রচেষ্টা ও ভুলের কৌশলের একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান । 

3. ফললাভের সূত্র : প্রচেষ্টা ও ভুলের কৌশলে কোন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে বা কোন প্রক্রিয়া বর্জন করা হবে , তা প্রাপ্ত ফলের দ্বারা নির্ধারিত হয় । এক্ষেত্রে যে ফল সুখদায়ক সেই প্রতিক্রিয়া গৃহীত হয় এবং যে প্রতিক্রিয়া বেদনাদায়ক তা পরিত্যক্ত হয় । 

শিক্ষাক্ষেত্রে অনুশীলন সূত্রের গুরুত্ব :


1. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক জটিল ও নতুন অংশগুলি বারবার উপস্থাপন করেন । এছাড়া আলোচনা , বিতর্কসভা , শিক্ষামূলক ভ্রমণ ইত্যাদির মাধ্যমে অনুশীলনের সুপারিশ করেন । 

2. পঠিত বিষয় কিছু সময়ের ব্যবধানে শিক্ষক আবার আলোচনা করবেন । 

3. শিক্ষক ছাত্র – ছাত্রীদের পাঠনপাঠনের সময় জানা থেকে অজানা বিষয়ে নিয়ে যাওয়ার নীতি গ্রহণ করবেন । এক্ষেত্রে তাকে অতীত অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত করারও চেষ্টা করতে হবে । 4. ভুল ও অপ্রয়োজনীয় অংশগুলি যাতে প্রথম সুযোগেই বাদ দেওয় শিক্ষক – শিক্ষার্থী উভয়কেই সেদিকে নজর দিতে হবে । 

শিক্ষাক্ষেত্রে ফললাভের সূত্রের গুরুত্ব : 

1. শিখন যদি শিক্ষার্থীকে আনন্দ ও তৃপ্তি দেয় , তাহলে শিক্ষার্থীর মধ্যে স্বাভাবিক প্রেরণা দেখা যাবে । এজন্য বিষয়বস্তু সহজ ও বোধগম্য হওয়া চাই । 

2. শিক্ষার্থী তার রোজকার জীবনের সঙ্গে শিক্ষণীয় বিষয়ের মিল খুঁজে পেলে শিখনে আগ্রহী হয় । 

3. শিক্ষার্থীর সামনে বিষয়বস্তুকে সহজ থেকে কঠিন নীতিতে উপস্থাপন করতে হবে । এভাবে শিক্ষার্থী সহজে বিষয়বস্তু আয়ও করতে পারবে । 

4. শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষণীয় বিষয়কে প্রতিকর , সহজ ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে হবে । 

5. পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করেন বা পুরস্কার প্রদান করেন তাহলে তাদের মধ্যে উৎসাহ বাড়ে । এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে । 


Q. প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশল বলতে কী বোঝো ? 

Ans: কোনো প্রাণী সমস্যার সম্মুখীন হলে তা সমাধানের জন্য নিরস্তর চেষ্টা করে । তখন এই চেষ্টার পেছনে তার কোনো চিন্তা থাকে না । ধীরে ধীরে সে সঠিক প্রচেষ্টাগুলি নির্বাচন করে এবং ভুল প্রচেষ্টাগুলি বাতিল করে । এভাবে এক পর্যায়ে পৌঁছে সে সমস্যার মুখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক প্রতিক্রিয়া করে সমস্যা সমাধান করে । এভাবেই প্রাণী শিখে বলে একে শিখন বলে । অন্যদিকে , শিখন সম্পন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াটি হলো প্রচেষ্টা ও ভুল পদ্ধতি । অত্যন্ত নিখুঁত ও বিজ্ঞানসম্মত পরীক্ষার মাধ্যমে থর্নডাইক এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন । ধর্নডাইকের মতে , প্রাণীর সর্বপ্রকার শিখনই হলো উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে নির্ভুল সংযোগসাধনের প্রক্রিয়া । থর্নডাইকের প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশল শিক্ষাজগতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সূচনা করলেও পরবর্তীতে বেশ সমালোচিতও হয়েছে । এই সমালোচনাই তত্ত্বটিকে সংশোধন করতে বাধ্য করে । 


Q. প্যাভলভের অনুসৃত পরীক্ষাটি কী ? সেটি বর্ণনা করো । 

Ans: প্যাভলভের অনুসৃত পরীক্ষাটি প্রাচীন অনুবর্তন নামে পরিচিত । 1904 সালে সর্বপ্রথম তিনি প্রাচীন অনুবর্তন প্রক্রিয়াটি উল্লেখ করেন । অনুবর্তন সংক্রান্ত নানা পরীক্ষার মধ্যে প্যাভলভ কুকুরের লালাক্ষরণের যে পরীক্ষাটি করেন তা উল্লেখযোগ্য । ক্ষুধার্ত কোনো কুকুরের সামনে কিছু খাবার দেওয়া হলে দেখা যায় ঐ কুকুরের মুখ থেকে লালাক্ষরণ হচ্ছে । লালাক্ষরণ উদ্দীপক খাদ্যবস্তুর স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া । তিনি লালাক্ষরণ পরিমাপের ব্যবস্থাও করেছিলেন ।  

   পরীক্ষামূলকভাবে প্যাভলভ কুকুরকে খাওয়ার দেওয়ার আগে প্রতিদিন ঘণ্টা বাজানোর ব্যবস্থা করেন । ঘণ্টাধ্বনি শেষ হওয়ার আগেই কুকুরকে খাবার দেওয়া হতো । এভাবে কিছুদিন চলার পর প্যাভলভ লক্ষ করেন ঘণ্টাধ্বনি শোনামাত্রই কুকুরের লালাক্ষরণ হচ্ছে । প্রসঙ্গত , ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গে লালাক্ষরণের স্বাভাবিক কোনো সম্পর্ক নেই । ঘণ্টাধ্বনির স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় জাগে সজাগভাব । আর ঘণ্টাধ্বনির সাথে সাথে কুকুরের মধ্যে সজাগভাব জাগত । এই পরীক্ষাটি বারবার করার ফলে ঘণ্টাধ্বনি স্বাভাবিক উদ্দীপক খাদ্যবস্তুর স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় লালাক্ষরণ ঘটায় । 


Q. অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন বলতে কী বোঝো ? অন্তর্দৃষ্টি শিখনের বৈশিষ্ট্যগুলি চিহ্নিত করো । 

Ans: অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন : সমস্যা সমাধানমূলক শিখন কৌশলের ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন কৌশল সমগ্রতাবাদীগণ পরীক্ষা থেকে সিদ্ধান্তে আসেন যে প্রতি ক্ষেত্রে প্রাণীরা প্রচেষ্টা ও ভুলের পদ্ধতি থেকে শেখে না । সাধারণত সমস্যার সামগ্রিক রূপ উপলব্ধির দ্বারাই প্রাণীরা সমস্যার সমাধান করতে পারে । প্রাণীর এই উপলব্ধি হঠাৎই হয় । গেস্টান্টবাদী মনোবিজ্ঞানীগণ সমস্যার সামগ্রিক রূপ হঠাৎ প্রত্যমানকে অন্তর্দৃষ্টি বলে চিহ্নিত করেছেন । 

অন্তর্দৃষ্টি শিখনের বৈশিষ্ট্য : সমগ্রতাবাদী মনোবিদগণ অন্তর্দৃষ্টি জেগে ওঠার জন্য দু’টি মানসিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব আরোপ করেন । এগুলি- 1. সামান্যীকরণ এবং 2. পৃথকীকরণ । শিখন পরিস্থিতির মধ্যে যেগুলি প্রসঙ্গ বহির্ভূত , সেগুলিকে বাতিল করে শুধুমাত্র প্রাসঙ্গিক এবং সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি নির্বাচনের নামই হলো পৃথকীকরণ । পরে ওই সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলির ভিত্তিতেই সামান্যধর্মী সূত্র তৈরি করাকে বলা হয় সামান্যীকরণ । 

নিজস্ব বৈশিষ্ট্যাবলি : শিখনের ক্ষেত্রে কোনো কাজ শেষ হওয়ার আগে বাধা পেলে শিক্ষার্থীর মধ্যে একটি অতৃপ্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয় । তখন সে তার ওই ধরনের অতৃপ্তিকর অবস্থা সামাল দিতে শিখন পরিস্থিতির সম্পূর্ণ অংশকে বিশ্লেষণ করে এবং তার মধ্যে থেকে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি বাদ দিয়ে সঠিক গুণকে নির্বাচন করে । এর ফলে শিক্ষার্থীর সামনে সম্পূর্ণ সমস্যার সমাধানের পথটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে । 

সমস্যা বিশ্লেষণ ও সমাধান : সমগ্রতাবাদীদের মতে , অন্তর্দৃষ্টি শিখনের নিজস্ব কতকগুলি বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এগুলি হলো – 


1. শিখন পরিস্থিতিকে সামগ্রিকভাবে প্রত্যক্ষ করা ; 

2.অংশ বিশেষের বদলে সমগ্র সমস্যাটির উদ্দেশ্য সামগ্রিকভাবে বুঝে নেওয়া । 

3. পরিস্থিতির অংশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ ; 

4. সমস্যাটির অন্তর্নিহিত তত্ত্ব এবং বৈশিষ্ট্যগুলির পৃথকীকরণ এবং সামান্যীকরণ ঘটানো ; 

5. সবশেষে আচমকা নিজের শিক্ষার্থীর ) আচরণে পরিবর্তন আনা । 


Q. প্রচেষ্টা ও ভুলের মাধ্যমে শিখনের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । এই শিখন তত্ত্বের শিক্ষাগত তাৎপর্য লেখো । 

Ans: প্রচেষ্টা ও ভুল শিখনের বৈশিষ্ট্য : মনোবিজ্ঞানী ধর্নডাইক তার পাজল বক্সে একটি বিড়ালকে রেখে যে পরীক্ষা করেন সেটির ভিত্তিতেই প্রচেষ্টা ও ভুলের মাধ্যমে শিখন তত্ত্বের উদ্ভব । এটি একটি অনুশীলন নির্ভর প্রক্রিয়া । একে বিশ্লেষণ করলে এর কিছু বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে – 


1. এই ধরনের শিখন পদ্ধতির সাফল্য শিক্ষার্থীর ( মানুষ / প্রাণী ) সক্রিয়তা এবং বাস্তব পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে । 

2. সমাধান বা লক্ষ্য বিষয়ে শিক্ষার্থীর মোটামুটি ধারণা থাকলে প্রতিক্রিয়া কার্যকর হয় । 

3. এই পদ্ধতিতে ঠিক / ভুল প্রতিক্রিয়া গ্রহণ / বর্জনের কাজ যান্ত্রিকভাবে হয় । 

4. এই ধরনের পদ্ধতিতে শিখনের সময় একইসঙ্গে নানারকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায় । 

5. প্রাণী অনুকরণের মাধ্যমে শেখে । প্রাণীর নিজস্ব সক্রিয়তাই শিখনের ভিত্তি । 

প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্বের শিক্ষাগত তাৎপর্য : শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্নডাইকের এই তত্ত্ব বিশেষ প্রভাব ফেলেছে । যথা—


1. শিক্ষার্থীর সফলতার ক্ষেত্রে শিক্ষককে নিজের দায়িত্ব পালনে আরো কার্যকর ভূমিকা পালনে জোর দিয়েছে এই তত্ত্ব । 

2. এ ধরনের শিখনের সাফল্য শিক্ষার্থীর নিবিড় অনুশীলনের উপর নির্ভর করে । তাই এবিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছে । 

3. নতুন শিখনে শিক্ষার্থী ভুল করলেই শাস্তি দিতে নিষেধ করা হয়েছে এই তত্ত্বে । 

4. পূর্বেকার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষার্থী যাতে সমস্যার সমাধান করতে পারে সেজন শিক্ষককে পাঠদানের সময় দৈনন্দিন জীবনের ঘটনার উদাহরণ দিতে বলা হয় । 

5. শিক্ষার্থীর মেধা – বুদ্ধি – শারীরিক সক্ষমতার ভিত্তিতে পাঠের বিষয় নির্বাচনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে ।  


Q. সমস্যা সমাধানমূলক শিখনের অর্থ কী ? সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন স্তর আলোচনা করো ।

Ans: বংশধারা ও পরিবেশগত কারণে নানা চাহিদা সৃষ্টি হয় । চাহিদাপূরণের তাগিদে মানুষ নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় । লক্ষ্যপূরণের পথে আসে নানা বাধা । বাধা অতিক্রম করার পথে ব্যক্তি নানা প্রতিক্রিয়ার মধ্য থেকে সঠিক প্রতিক্রিয়াটি নির্বাচন করে । এভাবে সঠিক প্রতিক্রিয়া নির্বাচন করে লক্ষ্যপূরণ করতে গিয়ে ব্যক্তি সমস্যা সমাধানের যে কৌশলটি আয়ত্ত করে তাকে বলে সমস্যা সমাধানমূলক শিখন কৌশল । এপ্রসঙ্গে মনোবিদ গেটস বলেছেন , সমস্যা সমাধান হলো এক বিশেষ ধরনের শিখন কৌশল যেখানে শিক্ষার্থীকে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়াটি আবিষ্কার করতে হয়। 


সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন স্তর : সমস্যা সমাধানমূলক শিখনের স্তরগুলি নিম্নরূপ : 


1. সমস্যার সম্মুখীন হওয়া : চাহিদার মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধানমূলক শিখন শুরু হয় । এই চাহিদার কারণ দু’টি । কোনো ব্যক্তি বা কোনো পরিস্থিতির জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে । ব্যক্তি নিজেও সমস্যাটি অনুভব করতে পারে । : 

2. সমাধান খোঁজা : ব্যক্তি সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে এটি বিশ্লেষণ ও সমস্যা নির্দিষ্ট করে । এবার সে সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্য কয়েকটি উপায় স্থির করে । এসবের মধ্য থেকে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে সর্বোৎকৃষ্ট উপায়টি নির্দিষ্ট করা হয় । 

3. সমস্যার সমাধান : একপর্যায়ে পৌঁছে সমস্যা সমাধানের পথে থাকা সব বাধা দূর হয় এবং সমস্যার সমাধান ঘটে । কখনো কখনো সমস্যা সমাধানের উপায়টি হঠাৎই দেখা দেয় । 

4. যাচাই করা : কখনো কখনো সমাধানটির যথার্থতা বিচার করার প্রয়োজন হয় । তখন মনে হয় যে উপায়ে সমাধান হয়েছে তা আরো সহজ ও সংক্ষেপ করা চলে।  

END


Education 1st Unit Suggestion 2024 Click Here To Downlod

HS Bengali Full Suggestion 2024 Click Here To Download

Tags